সালমান, বয়স ৩ মাস। বাচ্চাটির পেটফুলা ছবি দেখে ভেবেছিলাম টিউমার। চিকিৎসক জানালো তার পায়খানার নালির একটি অংশ প্যারালাইজড। ফলে ঠিকমতো তার পায়খানা হয় না। মুলত পায়খানা জমেই তার পেট ফুলে গেছে। ইতিমধ্যে সেপ্টিসেমিয়া ডেভেলপ করেছে। সেপ্টিসেমিয়া মানে রক্তে ইনফেকশন ছড়িয়ে পরেছে এবং এর ফলে শরীরের অন্যান্য সিস্টেম অকেজো হয়ে যাচ্ছে। বেবীটা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু সার্জারী বিভাগে ভর্তি আছে। চিকিৎসকের নিকট জানা যায়, বাচ্চাটাকে প্রথমে মেডিসিনের মাধ্যামে সেপ্টিসেমিয়া থেকে সেরে তুলা হবে। তারপর ধাপে ধাপে ৩ বার অপারেশন করতে হবে। ১ম অপারেশন-সেপ্টিসেমিয়া কন্ট্রোল হবার পর লাইফ সেভিং এর জন্য পেটে পায়খানার রাস্তা করে দেয়া হবে।২য় অপারেশন: ৬মাস পর মূল অপারেশন করা হবে। নাড়ির যে অংশটুকু কাজ করছেনা, সেটুকু ফেলে দিয়ে ভালো অংশ জোড়া লাগানো হবে। ৩য় অপারেশন: মূল অপারেশনের ৩ মাস পর পেটের অস্থায়ী পায়খানার রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হবে। শিশুটির বাবা মোঃ দানেশ পেশায় রক্সাচালক। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যয় ফ্রি হলেও অনুষাংগিক ব্যয় বহন করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। হাসপাতালের শিশু সার্জারী বিভাগের চিকিৎসক এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কৃষিবিদ ফাউন্ডেশন ফর হিউমিনিটি (কেএফএইচ) এর প্রতিনিধি ডা. খায়রুল বাশারের প্রচেস্টায় হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা-নীরিক্ষা ফ্রি ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৩ টি Albumin injection এর মূল্য প্রায় ১৮০০০ টাকাও ম্যানেজের চেস্টা করছেন এই চিকিৎসক। পাশাপাশি তিনি কেএফএইচ এর সহযোগীতা কামনা করেছেন।
কৃষিবিদ ফাউন্ডেশন ফর হিউমিনিটি (কেএফএইচ) চিকিৎসা সহায়তা প্রকল্প (কেএফএইচ স্পন্দন)হতে শিশুটির চিকিৎসার/আনুষঙ্গিক ব্যয় মেটানোর জন্য প্রাথমিকভাবে ৫০০০ টাকা প্রদান করেছে। কেএফএইচ প্রয়োজনে আগামীতে আরও অর্থ প্রদান করবে। পাশাপাশি ট্রিটমেন্ট কমিউনিটি-কেএফএইচ এর যৌথ কর্মসূচীর আওতায় ট্রিটমেন্ট কমিউনিটি এর সদস্যদের সহযোগীতায় গ্রুপ হতে ১৪২৫০ টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে।
You are donating to : সালমান এর জরুরী চিকিৎসায় কেএফএইচ ও ট্রিটমেন্ট কমিউনিটি
Share now
Follow up Continuous update of this fact
ফলোআপ-১ঃ সালমানের আপডেট
30 May, 2021
Dr Khairul Basher, শিশু সার্জারী বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ এর বক্তব্য আলহামদুলিল্লাহ অপারেশন সম্পন্ন। IV Access সম্ভব হওয়ায় আজ অপারেশন সম্ভব হয়েছে।
পেটে পায়খানার রাস্তা করা লাগেনি। পেট থেকে এবং পায়খানার রাস্তা থেকে মাংস নিয়ে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। মাংসের রিপোর্ট এর উপর পরবর্তি চিকিৎসা নির্ভর করবে। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে সেপ্টিসেমিয়ার জন্যই বাচ্চার পায়খানা হচ্ছিলোনা। সেক্ষেত্রে যদি মাংস পরীক্ষার রিপোর্ট ভালো আসে তাহলে আর কোনো অপারেশন লাগবেনা আশা করি।
তবে মাংস পরীক্ষার রিপোর্ট এ সমস্যা থাকলে তার আরও তিনটি অপারেশন লাগবে। অপারেশন পরবর্তি মূল চ্যালেঞ্জ হলো তার শরীরে প্রটিন সাপ্লিমেন্টেশন দেয়া। আজ যে টাকা দেয়া হয়েছে আশাকরি সেটা দিয়ে ১টা ইঞ্জেকশন এলবুটিন কিনতে পারবে এবং ২ দিন সেটা কাভার করা যাবে।
সালমানের চিকিৎসায় আরও ৫০০০ (পাঁচ হাজার) টাকা দেয়া হয়েছে। আগামীতে তার চিকিৎসার যে পরিমান টাকা লাগবে তা কেএফএইচ ও ট্রিটমেন্ট কমিউনিটি বহন করবে বলে আশা প্রকাশ করছে।