যাকাতের টাকায় আব্দুর রহিমের ঋণ মুক্তির প্রচেস্টায় শরীক হওয়া

আব্দুল রহিম (ছদ্ম নাম) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র। বাবা ছিলেন ড্রাইভার। ৫ ভাই-বোনের সকলেই মেধাবী ছাত্র। কয়েক বছর পূর্বে এক সড়ক দুর্ঘটনায় তাদের বাবা মারাত্বক আহত হন। এর পর হতে তিনি আর কাজ করতে পারেন না। কঠিন বাস্তবতারমুখে পড়ে এই পরিবার। সংসারের হাল ধরেন আব্দুল রহিমসহ অন্যান্য ভাইবোনেরা। একাধিক টিউশনি করে নিজেদের লেখাপড়ার খরচ,সংসার খরচ এবং বাবার চিকিৎসার খরচ চালিয়ে নিচ্ছেলেন তারা। স্বচ্ছলতা না আসলেও কোনরকম তারা চালিয়ে নিচ্ছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ তাদের সব আবার এলোমেলো করে দিল। করোনার ভয়ে এবং স্কুল বন্ধের কারনে কেউ আর গৃহশিক্ষক রাখতে আগ্রহী নন। এক এক করে টিউশনি হারাতে থাকেন তারা। বাবার চিকিৎসার পাশাপাশি মা ও বড় বোন অসুস্থ হয়ে পড়ে। সংসার ও চিকিৎসার খরচ চালানো তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে সংসার চালাতে সুদে ঋণ গ্রহণ করেন।কিন্তু সেই ঋণ পরিশোধ করা তাদের জন্য অসম্ভব। সংসারে অভাব পাশাপাশি মাথার উপর ঋণের চাপে দিশেহারা হয়ে পড়ে এই পরিবার। আব্দুল রহিম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও তার ডিপার্টমেন্ত চেয়ারম্যানের নিকট তার অসহয়াত্ব প্রকাশ করে। তাদের ও শুভাকাঙ্ক্ষী বন্ধু/পরিচিতদের সহায়তায় কিছু টাকা সংগ্রহ হয়। আব্দুল রহিম কৃষিবিদ ফাউন্ডেশন ফর হিউমিনিটি এর নিকট আবেদন করেন যাকাত ফান্ড হতে কিছু সহায়তার জন্য। তার ইউনিভার্সিটির বড় ভাই কলাবাগান থানার সাবইন্সপেক্টর নয়ন সাহা ট্রিটমেন্ট কমিউনিটি এর মোডারেটর) তার জন্য সুপারিশ করেন এবং তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় চেয়ারম্যানের সাথে ফোনে কথা বললে তিনিও সুপারিশ করেন আব্দুল রহিমকে সহায়তা করতে। তিনি জানান তারাও তাকে সহায়তার চেস্টা করছেন।

কৃষিবিদ ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যানিটি (কেএফএইচ) এর যাকাত ফান্ড হতে আব্দুল রহিমকে ২০,০০০ টাকা প্রদান করা হয়। আমরা জানি এই টাকা টাকা ঋণ হতে মুক্ত করবে না। কিন্তু তার ঋণ মুক্তির প্রচেস্টায় আমরা শরীক হলাম।

This case has been finished. No Donation is Needed Now.

Project Information

top